আব্দুস সালাম, নীলফামারীঃ বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিতরণ করা পুরস্কার নিয়ে নীলফামারীতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা শিশু একাডেমি চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, সাধারণ নৃত্য ও দেশাত্ববোধক সংগীতসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় “কিশোর মুক্তিযুদ্ধের গল্প” নামে একটি বই। কিন্তু বইটির ৩৪ ও ৩৭ নম্বর পৃষ্ঠায় হাশেম খানের লেখা “বেলবোর্নের চিঠি, বুলগেরিয়ার মেয়ে” গল্পে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও উক্তি সংযোজিত থাকায় কিছু অভিভাবকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এ ঘটনায় অভিভাবক ও বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ এর নির্দেশে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর রফিকুল ইসলাম ফোন করে অভিভাবকদের কাছে বই ফেরত নেওয়ার অনুরোধ জানান বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও শিশুদের পোশাক ও টিফিন বরাদ্দ না দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি সে সময় বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তাঁকে তড়িঘড়ি বদলি করা হয়।
তবে কয়েক বছর পর আবারও নীলফামারীতে যোগদানের পর একই ধরনের অনিয়ম ও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি এমন অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। নিয়মিত অফিস না করারও অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বই বিতরণের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং পুরস্কার দেয়া বই ফিরিয়ে নিয়ে নতুন বই দেয়ার কথা জানান।