মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় জমি–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে লোহার রড, হাসুয়া ও লাঠিসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জলিল সরদারের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মান্দা থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, বাঁশবাড়ীয়া মৌজার খতিয়ান নং–১১০ এর হাল দাগ ৩৮৫–৩৮৮ নম্বরের মোট ৩৫ শতাংশ জমির মধ্যে ১৭.৫০ শতাংশ বাদীপক্ষের দাদীর রেকর্ডীয় সম্পত্তি। প্রায় পাঁচ–ছয় দশক ধরে পরিবারটি ওই জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করে দখলে রেখেছে। সম্প্রতি শরীকানদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চরমে ওঠে।
গত ১৭ নভেম্বর বিকেলে স্থানীয় গন্যমান্যদের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক বসানো হলেও আসামিরা সেখানে বির্তক সৃষ্টি করে চলে যান। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাদীর চাচাতো ভাই মনিরুল ইসলাম মিলন নিজ বাড়িতে ফেরার সময় খানপাড়া জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে আসামিরা দলবদ্ধভাবে তাকে ঘিরে ধরে।
এজাহারের অভিযোগ অনুযায়ী, শাহাদত নামে এক আসামী ছুরি দিয়ে মনিরুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তার কপালের বাম পাশে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। হামিদুর রহমান বাবু লোহার রড দিয়ে বুকের ডান পাঁজরে আঘাত করলে তার ৭ নম্বর পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়। এ ছাড়া এক আসামী রড দিয়ে মনিরুলের ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে আঘাত করেন এবং অপর আরেকজন শাবল দিয়ে আঘাত করলে তার দাঁত ভেঙে যায়। এসময় আরও কয়েকজন বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
মনিরুলের চিৎকারে তার ভগ্নিপতি আব্দুস সালাম এগিয়ে এলে তাকেও শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়। হামলার সময় বাদীর ব্যবহৃত ইনফিনিক্স মোবাইল ফোন কাড়িয়ে ভেঙে ফেলা হয়, যার মূল্য প্রায় ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
গুরুতর আহত মনিরুলকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কপালে পাঁচটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে থানায় এসে অভিযোগ দিতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদী রবিউল ইসলাম।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু রায়হান আশেকীন বলেন, “মামলার প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সকালে ২ নম্বর আসামী বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত মেহের আলীর ছেলে হামিদুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।”