
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চরনদ্বীপ এলাকায় সরকারি খাস জমি দখলের চেষ্টা ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর ২০২৫) সকালে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চরনদ্বীপ মৌজার বেড়িবাঁধসংলগ্ন চারুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন একর আয়তনের ওই জমি ১৯৮৫ সাল থেকে জয়নাল আবদীনের পিতা ভোগদখল করে আসছেন। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের ২০ এপ্রিল জয়নাল আবদীন নিজ নামে জেলা প্রশাসকের নিকট জমিটির ইজারার আবেদন করেন (স্মারক নং–৩৭৫)।
এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক কক্সবাজার কার্যালয়ের স্মারক নং ২৭৭০/এস.এ, তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০০৩ ইং মূলে সহকারী কমিশনার (ভূমি), চকরিয়াকে সরেজমিন তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্মারক নং–৬০২(এস.এ), তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০০৩ ইং মূলে উক্ত জমি ‘চিংড়ি খাস জমি’ হিসেবে ইজারা প্রদানের প্রস্তাব পাঠান।
অভিযোগ রয়েছে, শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. মোক্তার (৩৫), পিতা মৃত মোজাহের আহমদ (প্রকাশ বাইঘ্যা), সাং–বুড়িপুকুর চিরিংগার নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে জয়নাল গংয়ের তফসিলভুক্ত চিংড়ি প্রজেক্টে প্রবেশ করে বেড়িবাঁধসংলগ্ন পুরাতন কাটিং মেরামতের কাজ শুরু করে জবরদখলের চেষ্টা চালায়।
এ সময় জয়নাল আবদীনের পরিবার বাধা দিলে তাদের ওপর প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় এবং নারী সদস্যদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। এতে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত মোক্তার বলেন,
“এটি সরকারি পতিত খাস জমি। আমি এখানে চাষ করলে সমস্যা কোথায়? কেউ যদি বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে, আমি জমি ছেড়ে দেব।”
অন্যদিকে জয়নাল আবদীন দাবি করেন,
“১৯৮৫ সাল থেকে আমরা এই জমিতে নিয়মিতভাবে ভোগদখলে আছি। সরকারের কাছে ইজারার আবেদনও করা হয়েছে। এখন জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চলছে। আমরা আইনগতভাবে বিচার চাই।”
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন,
“বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ না হলে ঘটনাটি বড় ধরনের সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।