নিরঞ্জন মিত্র ( নিরু) ( ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত নির্ভীক সাংবাদিক প্রয়াত গৌতম দাসের ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে ফরিদপুর প্রেসক্লাব ও গৌতমের গ্রামের বাড়ী ভাঙ্গায় নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে,(১৭ নভেম্বর) সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের মরহুম অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা মিলনায়তনে গৌতম দাসের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং এক মিনিট নীরবতা পালন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়ালের সঞ্চালনায়, এ-সময় বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চক্রবর্তী শঙ্কর, প্রেসক্লাবের সদস্য শফিকুল ইসলাম মনি, শাহাদাত হোসেন তিতু, মফিজুর রহমান শিপন , এসএম মনিরুজ্জামান, প্রমূখ।
সাংবাদিক গৌতম দাসের জীবন ও কর্ম তুলে ধরে সভায় বক্তারা বলেন, গৌতম দাসের লেখায় সমাজের বাস্তব ফুটে উঠেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সত্য সংবাদ প্রকাশ করতেন। সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলতেন । আর তাই একটি সত্য খবর প্রকাশ করে ২০০৫ সালের ১৭ ই নভেম্বর সন্ত্রাসীরা তাকে তার কার্যালয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। তার মৃত্যুতে দেশ একজন সাহসী সাংবাদিককে হারিয়েছে। যদিও পরবর্তীতে তারপর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। বক্তারা সাংবাদিক গৌতম দাসের আত্মার শান্তি কামনা করেন। একই সাথে আগামী দিনে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান ।
এদিন উপলক্ষে সকাল ১০ টায় ভাঙ্গা পৌরসভার চন্ডীদাসদী গ্রামে গৌতম দাসের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে অংগ্রহণ করেন ভাঙ্গা ও ফরিদপুরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকগন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুর শহরে দৈনিক সমকাল ব্যুরো অফিসে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় গৌতম দাসকে। ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন গৌতম দাস হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নয়জন আসামির সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুর শহরের নিলটুলী মুজিব সড়কে সরণি মার্কেটে দৈনিক সমকালের ব্যুরো অফিসে স্থানীয় এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও এলজিডির দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় গৌতম দাসকে। গৌতম দাস প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি এবং ভোরের ডাকের ভাঙ্গা প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করতেন।