দেবিদ্বার (কুমিল্লা)
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা কেন্দ্রিক একটি দলীয় সংঘবদ্ধতার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগ তুলেছেন। স্থানীয় সূত্রে দাবি, আঃ ওহাবের নেতৃত্বে একটি ২০ সদস্যের টিম কুমিল্লায় ঝটিকা মিছিল, বাসে অগ্নিসংযোগ ও অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করছে।
অভিযোগ আনা হয়েছে যে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাজি মোহাম্মদ ফখরুল ও কুমিল্লা জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টার।প্রতিবেদন বলছে, সুবিল ইউনিয়নের বুড়ির পার গ্রামের বাসিন্দা আঃ ওহাব ৫ আগস্টের পর থেকে স্থানীয় এলাকা ছাড়ে এবং ঢাকার শান্তিনগরের একটি খানকাহ-এ আত্মগোপন করে সহযোগীদের সঙ্গে থেকে বিভিন্ন ধরণের নাশকতায় লিপ্ত আছে—এমনটাই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগিরা দাবি করেছেন, গত ৪ আগস্ট দেবিদ্বার নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্রদের ওপর আক্রমণ ও হত্যা সংঘটিত হয়; এতে ওই দলের সদস্যরা জড়িত ছিল বলে তারা মনে করেন। অভিযুক্তরা ওই ঘটনার পরে ঢাকায় পালিয়ে যায়—অভিযোগকারীদের বক্তব্যে দাঁড়ায়।ভুক্তভোগি ও স্থানীয়রা আরও বলছেন যে টিমটির সার্বিক ব্যয়ভার বহন করছে রোশন আলী মাষ্টার ও রাজি মোহাম্মদ ফখরুল; তাদের নির্দেশেই ডিসেম্বর মাসকে লক্ষ্য করে কুমিল্লায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা চলছে। এলাকার কয়েকটি পরিবার জানিয়েছে—আঃ ওহাব একজন অপরাধী, সে ছাত্র হত্যা মামলায় জড়িত
তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে তদন্ত করে শাস্তি দেওয়া হোক।
অভিযোগে আঃ ওহাবের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর (প্রতিবেদন অনুযায়ী: 01711146050) উল্লিখিত আছে; স্থানীয়রা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সুপারের কাছে এই নম্বরের তথ্য উদঘাটন করে বিদেশে থাকা কোনো নেতার নির্দেশ পাওয়া যাচ্ছে কিনা তা তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছে।
তারা দ্রুত আঃ ওহাব ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, অভিযোগে নাম উল্লেখ হওয়া রাজি মোহাম্মদ ফখরুল ও রোশন আলী মাষ্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এখানে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত তথ্য প্রকাশ করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের উদ্বেগ, “এদের গ্রেফতার না করলে কুমিল্লা জেলায় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে; পুরো জেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে” প্রতিবেদনে নাম উঠে আসা কয়েকজন (আঃ ওহাব ৪ নং সুবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সেচ্ছাসেবক লীগের হানিফ মেম্বার,সুবিল ইউপি সদস্য সেলিম মেম্বার, কাউছার মিয়া সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা, ও সুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আনিস—যিনি অভিযোগ অনুযায়ী যুবলীগ নেতা,এই অপরাধীদের সম্পর্কে স্থানীয়রা বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন; তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য বা পুলিশের চূড়ান্ত মন্তব্য পাওয়া গেলে এই প্রতিবেদনে তা যোগ করা হবে। ভুক্তভোগীদের আহ্বান—তথ্য ও প্রমাণাদি সংগৃহীত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো দ্রুত বিচার ও তদন্ত পরিচালনা করুন, যাতে অস্থিরতা প্রতিরোধ করা যায় এবং দোষীরা শাস্তির মুখোমুখি হয়।