নিরঞ্জন মিত্র (নিরু) (ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের পুলিশের এসআই মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায়
দীর্ঘদিন পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ লিয়াকত শেখ (৪২)’কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
মঙ্গলবার ভোররাত আড়াই টার দিকে ঢাকা জেলার ধামরাই থানার চরডাউটিয়া এলাকা থেকে র্যাব-১০ ও র্যাব-৪ এর একটি যৌথ ভাবে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আজ (৭ অক্টোবর) মঙ্গলবার
বিকাল সোয়া ৫ টার দিকে র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সূত্রে জানান, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ জেলা শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে একটি পরিত্যক্ত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়, যা পরে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলামের বলে শনাক্ত হয়। তবে ঘটনাস্থলে এসআই মিরাজুল উপস্থিত ছিলেন না, এমনকি তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এতে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের একটি পানি ভর্তি ডোবা থেকে এসআই মিরাজুলের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি তখনও পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিলেন। তদন্তে জানা যায়, সন্ত্রাসীরা তার কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, মোটরসাইকেল ও সরকারি মালামাল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
পরে পুলিশ বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৫ সালের ৭ জুলাই ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় লিয়াকত শেখ ওরফে লিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
অবশেষে র্যাবের তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পলাতক অবস্থান শনাক্ত করে অবশেষে মঙ্গলবার অড়াই টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত লিয়াকতের বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতিসহ ৬টি মামলা রয়েছে।
র্যাব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা কোনো আসামি র্যাবের নজর এড়িয়ে যেতে পারবে না।