নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের সফাপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। মৃত কাশেম সরদারের ছেলে হাসান সরদারের সদ্য নির্মাণাধীন ইটের বাড়িতে গত শনিবার (০৪ অক্টোবর) বিকেলে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলায় নেতৃত্ব দেন অভিযোগকারী পক্ষের দাবি অনুযায়ী ছুটিতে থাকা সেনা সদস্য হামিদুর রহমান, যিনি অহির মন্ডলের জামাতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সফাপুর গ্রামের মৃত হানিফ মন্ডলের ছেলে অহির মন্ডল একটি জাল দলিল ব্যবহার করে হাসান সরদারের ওই নির্মাণাধীন বাড়ির জমি দখলের পাঁয়তারা করছিলেন। শনিবার (০৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে অহির মন্ডল তার ছেলে মিজান, আমজাদ, এমরান, আরশাদ, এরশাদ ও আমিনুরসহ এবং জামাতা সেনা সদস্য হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রায় ২৭ জনের একটি মুখোশধারী সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হাসান সরদারের বাড়িতে চড়াও হয়।
তারা বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। নতুন নির্মাণাধীন বাড়ির বিভিন্ন সামগ্রী ও জিনিসপত্র তছনছ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও কৌশলে পালানোর অভিযোগ
স্থানীয় এলাকাবাসীরা এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আম্বিয়া, নাসিমা, ফরিদা, হেলাল, প্রবীণ ব্যক্তি ছাবের আলী মন্ডল ও সাদিয়া আক্তার দিনা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বিশেষ করে একজন সেনা সদস্য ছুটিতে এসে এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেনা সদস্য হামিদুর রহমান অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটার আগেই নেতৃত্ব দিয়ে সুকৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জানা যায়, তিনি হামলার আগেই নাটোর ট্রেনযোগে তার কর্মস্থল সেনা ক্যাম্পে ফিরে গিয়েছেন এবং কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। এতে প্রতীয়মান হয়, তিনি জেনে-বুঝেই হামলার নেতৃত্ব দিয়ে দ্রুত সরে পড়েন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু রায়হান জানান, ” উক্ত ঘটনায় দুই পক্ষই মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তবে সেনা সদস্যের নাম জড়িয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের এই অভিযোগ স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগী ভ্যানচালক হাসান সরদার এবং স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।