মোঃওবাইদুল হক স্টাফ রিপোর্টার যশোর।।
যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ শুনানির আয়োজন করে দুদক যশোর কার্যালয়। এতে সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, দুদক মহাপরিচালক আকতার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ
এবং যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান।গণশুনানি দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন, আর দ্বিতীয় পর্বে জেলার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সেবা গ্রহীতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।দুদক সূত্র জানায়, মোট ৩৭টি প্রতিষ্ঠান—যার মধ্যে রয়েছে বিআরটিএ, যশোর জেনারেল হাসপাতাল, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর,
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা অধিদপ্তর, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, ওজোপাডিকো, ভূমি অফিস, ব্যাংক, পৌরসভা ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর—এর বিরুদ্ধে ৭৫টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়।শুনানিতে অভিযোগকারীরা ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ তুলে ধরেন, আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা সেগুলোর ব্যাখ্যা দেন।এক পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে ‘পাকা কলা খাওয়ার’ কথা স্বীকার করায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে তাৎক্ষণিক বদলির নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। অভিযোগকারী রুস্তম আলী জানান,
আলমগীর শুধু কলাই নয়, তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তার জমির ডিসিআর অন্যের নামে দেওয়া হয়।প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন, “দুদক একা দুর্নীতি নির্মূল করতে পারবে না, তবে জনগণের অংশগ্রহ ন বাড়লে এর মাত্রা অনেকটা কমানো সম্ভব। আমরা দুই পক্ষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছি, এতে স্বচ্ছতা বাড়বে, দুর্নীতি কমবে।”গণশুনানিটি সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।
যশোরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত দিনব্যাপী গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ শুনানির আয়োজন করে দুদক যশোর কার্যালয়। এতে সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, দুদক মহাপরিচালক আকতার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ এবং যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান।
গণশুনানি দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন, আর দ্বিতীয় পর্বে জেলার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সেবা গ্রহীতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
দুদক সূত্র জানায়, মোট ৩৭টি প্রতিষ্ঠান—যার মধ্যে রয়েছে বিআরটিএ, যশোর জেনারেল হাসপাতাল, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা অধিদপ্তর, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, ওজোপাডিকো, ভূমি অফিস, ব্যাংক, পৌরসভা ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর—এর বিরুদ্ধে ৭৫টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়।
শুনানিতে অভিযোগকারীরা ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ তুলে ধরেন, আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা সেগুলোর ব্যাখ্যা দেন।
এক পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে ‘পাকা কলা খাওয়ার’ কথা স্বীকার করায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে তাৎক্ষণিক বদলির নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। অভিযোগকারী রুস্তম আলী জানান, আলমগীর শুধু কলাই নয়, তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তার জমির ডিসিআর অন্যের নামে দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন, “দুদক একা দুর্নীতি নির্মূল করতে পারবে না, তবে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়লে এর মাত্রা অনেকটা কমানো সম্ভব। আমরা দুই পক্ষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছি, এতে স্বচ্ছতা বাড়বে, দুর্নীতি কমবে।”
গণশুনানিটি সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।